1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ দখলে নিল ইসরায়েল, সাংবাদিকসহ আটক ১৩ আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোবাইল চুরির সন্দেহে পিটিয়ে ও চুবিয়ে হত্যা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কেরানীগঞ্জে পশুর হাটে বিশৃঙ্খলা, মার খেয়ে আহত গরু ব্যবসায়ী লঞ্চে উঠতে গিয়ে নারী ও শিশুসহ বুড়িগঙ্গায় পড়লো ৫ যাত্রী আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কেরানীগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার

বদলির আদেশ পাওয়ার পর থানার এসি, টেলিভিশন, আইপিএস খুলে নিলেন ওসি

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বদলির আদেশ পাওয়ার পর থানার শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফাসেট নিজের দাবি করে খুলে নিয়ে গেছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যানচালকের সহায়তায় থানার জিনিষপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা হতে ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে নেয়া হয়।
এভাবে থানার জিনিষগুলো খুলে নেয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এদিকে থানার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিষগুলো উপহার দিয়েছেন তারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের সই করা আদেশে জেলার চার থানার ওসিকে বদলি করা হয়। এরমধ্যে ভূঞাপুর থানার ওসি ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বদলির আদেশ পাওয়া অন্য ওসিরা হলেন- মধুপুর থানার ওসি মাজাহারুল আমীন, গোপালপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম।

বদলির আদেশ পেয়েই শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে জিনিসপত্র খুলতে শুরু করেন ফরিদুল। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, জিনিষপত্র ব্যক্তিগত কাউকে দেয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবে সেই ব্যবহার করবে এজন্যই জিনিষপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেয়া হয়েছে। এতো নিচু মন মানসিকতার ওসি সেটা জানা ছিল না।

থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিষপত্রগুলো খুলে নেয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে রাখা হয়েছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জুরান মণ্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য বর্ধন ও থানার যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধাটা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহালের টাকা দিয়ে জিনিষপত্রগুলো দেয়া হয়েছে থানার স্বার্থে কারো ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন এটা ঠিক না। তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেয়া হয়নি তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেয়া হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা জিনিষপত্র হলে তো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।

বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।

জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারো অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews