আদালত প্রতিবেদক: ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এলাকা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা যায়নি এখনো। আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ও মাইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকা পলাতক দুজনের একজনকেও শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই বড় কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
পলাতক দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে না পারলে ওই ঘটনায় জড়িত মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) ও প্রয়াত রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুককে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
নিরাপত্তা বিশ্লেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন, দুই জঙ্গি পলাতক অবস্থায় দেশে বড় কোনো হামলা চালাতে পারে। দেশে হয়তো তারা আরেকটি হলি আর্টিসানের মতো ঘটনা অথবা আত্মঘাতী কোনো হামলা ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে পলাতক দুই জঙ্গির কোনো চুক্তি হলে সেটিও হবে ভয়াবহ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাবধানতা ও সতর্কবার্তার মধ্যেই ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানী ঢাকায় হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় ইতিহাসের জঘন্যতম জঙ্গি হামলা ঘটে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে জঙ্গি-উগ্রবাদী তৎপরতা বেড়েছে। জঙ্গিবিরোধী তৎপরতায় আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামি গ্রেফতারে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই তারা গ্রেফতার হবেন। তারা যদি বিদেশে পালান ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এখন পর্যন্ত বিদেশে পালানোর বিষয়ে কোনো ধরনের গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়নি।