Warning: Creating default object from empty value in /home/burigangatv/public_html/wp-content/themes/BreakingNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
কেরানীগঞ্জে সেই কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় গ্ৰেফতার ৮ - বুড়িগঙ্গা টিভি কেরানীগঞ্জে সেই কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় গ্ৰেফতার ৮ - বুড়িগঙ্গা টিভি
  1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কিছু হলেই যমুনায় চল, এমন আর হবে না সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবেন ‘কণ্ঠরোধে ৩২টি আইন থাকলেও সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোন আইন নেই’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আ. লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রচারণা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনা-কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ, সোমবার ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল আওয়ামীলীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি পাক ভারত যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা না হবে আন্দোলন চলবে মোস্তফা জামান আব্বাসীর মৃত্যুতে জামায়াত আমিরের শোক প্রকাশ ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধীদের মধ্যে ফাটল তৈরির পাশাপাশি আ.লীগকে পুনর্বাসন করছে সরকার’:তারেক রহমান

কেরানীগঞ্জে সেই কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় গ্ৰেফতার ৮

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩

বুড়িগঙ্গা টিভি অনলাইন ডেস্ক: ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া শুটকিরটেক এলাকায় গত ২ তারিখ রাতে অ্যাপিছ গ্লোবাল লিমিটেড নামের একটি  কারখানায় নৈশ প্রহরীদের হাত-পা  বেঁধে ও উলঙ্গ করে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ডাকাতিকৃত মালামাল ক্রয়কারী পলাতক এক আসামির স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়ার ব্যক্তিরা হলেন—হামিদুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম ওরফে রাজু, জাহিদ মিয়া, মনিরুল ইসলাম ওরফে রতন ড্রাইভার, আজিজুল হক ওরফে আজিজ ড্রাইভার, ইস্রাফিল, সজল মিয়া ও লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়কারী মোশাররফের স্ত্রী রাশিদা বেগম।

এছাড়াও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুইটি কাভার্ড ভ্যান, ২১ হাজার ৫০০ মিটার রেইনকোর্টের ফেব্রিক্স, ২ হাজার ৯২৫ মিটার কোটিং ফেব্রিক্স, ২৫০ কেজি মেস কাপড়, ৪০০ পিস ছাই রংয়ের কম্বল, একটি স্ট্যান্ড ফ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব মালামালের দাম ৮২ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান।

গত ২ জুলাই দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে একদল সশস্ত্র ডাকাত কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া নিশানবাড়ী এলাকায় অ্যাপিছ গ্লোবাল লিমিটেড নামের কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এসপি আসাদুজ্জামান জানান, কারখানাটিতে দায়িত্বরত নৈশ প্রহরী গেটে তালা লাগানোর সময় চার থেকে পাঁচজন জন সশস্ত্র ডাকাত জিম্মি করে এবং একজন নৈশপ্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তিনটি আঙুল কেটে ফেলে। ডাকাত দল নৈশপ্রহরীদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। ডাকাতরা কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জকে উলঙ্গ করে এলোপাথারী মারপিট করে। পরে তাদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে খাটের উপর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে। এরপর ডাকাতদলের আরও আট থেকে ১০ জন সদস্য দুটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে কারখানায় প্রবেশ করে।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার বলেন, ‘ডাকাতদল কয়েকঘন্টা ধরে কারখানার ভিতরে থাকা মূল্যবান কম্বল, কোটিং ফেব্রিক্স, রেইনকোর্ট ফেব্রিক্স, মেস কাপড়, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান একটি কাভার্ড ভ্যানে উঠায়। তারপর সিকিউরিটি গার্ডদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে লুণ্ঠিত মালামাল কাভার্ড ভ্যান ভর্তি করে পালিয়ে যায়।’

চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনায় কারখানার মালিক আবুল কালাম আজাদ কারখানার বিভিন্ন লুণ্ঠিত মালামাল যার দাম ৮২ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা ডাকাতি হয়েছে এমন অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন।

পুলিশের ভাষ্য, চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতি মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকার এসপি আসাদুজ্জামান নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আমিনুল ইসলামের সার্বিক দিক নির্দেশনায় কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীরের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল দূর্র্ধষ এই ক্লুলেস কারখানায় ডাকাতির মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।

 

কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীরের নেতৃত্বে ও কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন-অর রশিদের সহযোগিতায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দের একটি চৌকষ আভিযানিক দল ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালায়। অভিযানে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিরা ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, লুণ্ঠিত মালামাল বিক্রির জন্য মোশাররফের গুদামে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ পলাতক আসামি মোশাররফের স্ত্রী রাশিদার স্বীকারোক্তি ও দেখানোমতে তাদের গুদাম থেকে উল্লেখিত ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত সকল মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।’

‘আসামিরা সবাই আন্তঃজেলা ফ্যাক্টরি ডাকাতচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ছদ্মবেশে ঢাকার আশেপাশের দুরবর্তী ও নির্জন এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন ফ্যাক্টরির মালামাল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেকি করে। যেসব ফ্যাক্টরির অবস্থান নির্জন এলাকায় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দূর্বল সেটিকে টার্গেট করে ডাকাতি করে।’

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews