লন্ডনের সাউথএন্ড বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ধরে গেছে। এতে বিমানে থাকা চারজন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইংল্যান্ডের এসেক্স পুলিশ সোমবার (১৪ জুলাই) জানায়, ওই দুর্ঘটনায় নিহত চারজনই বিদেশি নাগরিক এবং তাদের পরিচয় শনাক্তের কাজ এখনো চলছে। উড়োজাহাজটি রোববার বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটি ছিল ‘Beechcraft B200 Super King Air’ মডেলের একটি ১২ মিটার দীর্ঘ টার্বোপ্রপ প্লেন, যা ডাচ কোম্পানি জিউস আভিয়েশনের মালিকানাধীন। রোববার এটি প্রথমে গ্রিসের এথেন্স থেকে ক্রোয়েশিয়ার পুলা শহরে যায় এবং সেখান থেকে লন্ডনের সাউথএন্ড বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সন্ধ্যায় এটি নেদারল্যান্ডসের লেলিস্টাড ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণযাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই প্লেনটি ভূপাতিত হয়ে আগুন ধরে যায়।
এসেক্স পুলিশের চিফ সুপারিনটেনডেন্ট মরগান ক্রোনিন সাংবাদিকদের বলেন, “দুঃখজনকভাবে নিশ্চিত করতে পারছি, বিমানের চার আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার কাজ চলছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, তারা প্রত্যেকেই বিদেশি নাগরিক।”
জিউস আভিয়েশন কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এসইউজেড-১ ফ্লাইটে থাকা চারজনের কেউই বেঁচে নেই। এই কঠিন সময়ে আমরা নিহতদের পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, জিউস আভিয়েশন মূলত মেডিকেল ইভাকুয়েশন, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, মানচিত্র তৈরি এবং ব্যক্তিগত চার্টার ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
লন্ডন সাউথএন্ড বিমানবন্দরটি মূলত স্বল্প দূরত্বের ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি লন্ডন শহর থেকে ৭২ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। ইজি-জেটসহ বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা এখান থেকে ফ্লাইট চালায়। দুর্ঘটনার পর সোমবার সকাল পর্যন্ত বিমানবন্দরটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ব্রিটেনের এয়ার অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ (এএআইবি) জানায়, তারা একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে, যেখানে বিমান চালনা, মানবিক কারণ, প্রকৌশল এবং ফ্লাইট ডেটা বিশ্লেষণে দক্ষ পরিদর্শকরা রয়েছেন। সংস্থার কর্মকর্তা লিসা ফিটসিমন্স বলেন, “আমরা অন্যান্য দেশের তদন্ত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এই মুহূর্তে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা খুবই আগেভাগে হয়ে যাবে।”