Warning: Creating default object from empty value in /home/burigangatv/public_html/wp-content/themes/BreakingNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
বহু জনের ফাঁসি কার্যকর করা জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন - বুড়িগঙ্গা টিভি বহু জনের ফাঁসি কার্যকর করা জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন - বুড়িগঙ্গা টিভি
  1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম উঠা নামা করার পর দেশে কেমন মূল্য বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ উদ্ধার আজ মে দিবস, দিনটি আসে-যায় ভাগ্য পরিবর্তন হয়না শ্রমিকের জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীরা সম্মান নিয়ে কাজ করতে পারবে : ডা. শফিকুর রহমান ৭ দিন ধরে থানায় অনুপস্থিত পালং মডেল থানার পরিদর্শক মাসুদুর রহমান দীপ্ত টিভির সংবাদ বিভাগ তারা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা রিচার্জ কার্ডের সূত্র ধরে ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন জুলাই শহিদের মেয়ে বাবার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত বুড়িগঙ্গার তীর থেকে নারীর খন্ডিত হাত পা উদ্ধার

বহু জনের ফাঁসি কার্যকর করা জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪
  • নিউজ ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামিসহ ৬০ জনের ফাঁসি কার্যকর করা আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন। আজ সোমবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

শাহজাহানের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে তার বোন ফিরোজা বেগম বলেন, সাভারে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। আজ ভোর রাত ৩টার দিকে হঠাৎ করেই বুকের ব্যথা অনুভব করলে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন শাহজাহান ভূঁইয়া। তার জন্মস্থান নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে। তিন বোন, এক ভাই। বাবার নাম হাসান আলী ভূঁইয়া ও মা মেহের। পড়াশোনা করেছেন এইচএসসি পর্যন্ত। ১৯৭৪ সালে তিনি এইচএসসি পাস করেন। নরসিংদী জেলার কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন শাহজাহান। ১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি জেলার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, একবার তার গ্রামে নারীঘটিত একটি ঘটনা ঘটে। শাহজাহানের দুই বন্ধুসহ তার নামে অভিযোগ ওঠে। গ্রামে তাকে নিয়ে বিচারে বসা হয়। সেই বিচারে অপরাধী প্রমাণিত করে তাকে সাজা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তার ক্ষিপ্ততা শুরু। তিনি অপমান সহ্য করতে না পেরে সিদ্ধান্ত নেন অপরাধ জগতে প্রবেশ করে এই অপমানের চরম প্রতিশোধ নেবেন।

ওই ঘটনার পরে তিনি বাংলাদেশের একজন বহুল পরিচিত সন্ত্রাসীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন। তার উল্লেখযোগ্য একটি অপারেশন ছিল ১৯৭৯ সালে মাদারীপুর জেলায়। এটাই ছিল তার জীবনে সর্বশেষ অপারেশন। সেখানে অপারেশন শেষ করে মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকায় ফেরার চেষ্টা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে শাহজাহানের দল মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকায় যাবে।

মানিকগঞ্জে পুলিশ চেকপোস্ট বসালে শাহজাহান তার ওই এলাকার বাহিনীর মাধ্যমে তা জেনে যান। সব জেনেই ওই এলাকা দিয়ে ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিও হয় কিন্তু পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। এরপর ঢাকায় পৌঁছে যখন নরসিংদীর উদ্দেশে রওনা হন, পথিমধ্যে পুলিশ তাকে আটক করে ফেলে। তার গতিময় জীবনের এখানেই সমাপ্তি এবং এরপর থেকে তার বন্দী জীবন শুরু। ১৯৭৯ সালে আটক হওয়ার আগে ও পরে তার নামে সর্বমোট ৩৬টি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি অস্ত্র মামলা, একটি ডাকাতি মামলা এবং অবশিষ্ট ৩৪টি হত্যা মামলা। ৩২ বছর কারাভোগ শেষে গত বছরের ১৮ জুন তিনি মুক্তি পান।

জল্লাদ শাহজাহান মুক্তি পেলেন যেভাবে ভিডিও 

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews