জানা গেছে,গত বছর ২২ অক্টোবর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর কলেজ মাঠে সম্মেলনের পর সেখান থেকে কোন কমিটি ঘোষণা না করেই সম্মেলন শেষ করা হয়। এর পরবর্তীতে গাজী মাসুম বিল্লাহ জুয়েল সভাপতি ও জসীম আহমেদ নীরবকে সাধারণ সম্পাদক করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এরপর বিবাহিত-অবিবাহিত দ্বন্দ্ব সহ বিভিন্ন অন্তঃকোন্দলে বছরজুড়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা নিয়ে নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা হলেও অনেক ত্যাগী নেতার পাশাপাশি কোনদিন ছাত্রলীগ করেনি এমন নেতারাও কমিটিতে স্থান পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্তমান কমিটির একাধিক ছাত্রলীগ নেতা। তবে নতুনরা কিভাবে বর্তমান কমিটির স্থান পেয়েছে এবং এতে কোন অর্থের লেনদেন হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে সকলেই বিষয়টি এড়িয়ে যান।
কমিটিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের পর গুরুত্বপূর্ণ পদ সহ-সভাপতি হিসেবে অন্যান্যদের সাথে কদমতলী খালপাড় এলাকার শাহপরান রিমন ও ১নং সাংগঠনিক সম্পাদকের জায়গায় স্থান পেয়েছেন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের পারগেন্ডারিয়া এলাকার ইমতিয়াজ আহমেদ বিপ্লব। এছাড়াও বর্তমান কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ১১টি পদে নারীরা স্থান পেয়েছে।
অনুমোদিত কমিটির সদস্যদের নাম ও পদবী
সহ-সভাপতি পদ পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শাহ পরান রিমন জানান, “একটু দেরি করে হলেও ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাননীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিপু, উপজেলা চেয়ারম্যান ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম মামুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামী দিনে তাদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে ২০২৪ সালে নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে পুনরায় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা আনতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ছাত্রলীগ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে বলে অঙ্গীকার করেন।”
নিজের পদ-পদবী নিয়ে সন্তুষ্ট এক নম্বর সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ বিপ্লবের কাছে কমিটি গঠনে দীর্ঘসূত্রতা কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, “এটি একটি ইতিবাচক দিক, তাড়াহুড়ো করে কমিটি গঠন করা হলে এতে অনেক ভুল-ভ্রান্তি ও নেতাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। তাই আমাদের স্থানীয় সাংসদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু নিজ হাতে কমিটিতে স্থান পাওয়া সমস্ত নেতাকর্মীদের তথ্য যাচাই বাছাই করে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।এ নিয়ে বর্তমানে ছাত্রলীগের সকলেই সন্তুষ্ট আছে।”
তবে ছাত্রলীগের প্রটোকল অনুযায়ী বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের সদস্য হতে পারবে না। এক্ষেত্রে শতভাগ যাচাই বাছাই করে বর্তমান কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেও যদি বিবাহিত কাউকে বর্তমান কমিটিতে পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে তার সদস্যপদ বাতিল হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ।
** নিউজটির কোনো বাক্য বা ছবি কপি করা সম্পূর্ন দন্ডনীয়** শেয়ার অনুমোদিত*
বুড়িগঙ্গা টিভি / টিটু আহমেদ