ডেস্ক নিউজ: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারি ইউনিয়নের যুবদলের আহ্বায়ক প্রার্থী কারা নির্যাতিত নেতা ফারুক খান ও তার ভাই ফরহাদ খানের উপর, মাহাবুব সামদানির নির্দেশে গেল বুধবার রাতে,রিপন মাস্টার জাকির পালোয়ানের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায়।
গত ২১ শে মে রাত আনুমানিক দশটার দিকে নিগুয়ারি ইউনিয়নের পাতলাশী বাজারে চায়ের দোকানে বসা ছিল, আখতারুজ্জামান বাচ্চুর অনুসারী কারা নির্যাতিত যুবদল নেতা ফারুক খান এ সময় ডাক্তার রানার অনুসারী রিপন মাস্টার, ফারুক খানকে উদ্দেশ্য করে চা গায়ে ছুড়ে মারেন, কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটির পর এক পর্যায়ে চারপাশ থেকে
জাকির পালোয়ান, খোকন খান, স্বপন খানসহ সহ-সঙ্ঘবদ্ধ ১৫-১৬ জনের একটি দল এ চারপাশ থেকে ফারুক খানের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে, ফারুক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাই পরে ফারুক কে না পেয়ে তার বোন জামাই কাইয়ুম এর উপর হামলা চালালে, কাইয়ুমের মাথায় লাঠির বাড়ি লেগে গুরুতর যখম হয় ।
যুবদল নেতা ফারুক খান জানান বাজারের ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই আমাকে আঘাত করতে না পেরে ঠিক আধা ঘন্টা পর অর্থাৎ ১০.৩০ মিনিটের দিকে আমি ও আমার ভাই ফরহাদ খান বাড়িতে যাওয়ার সময়, রিপন মাস্টারের বাড়ির সামনে আসার সাথে সাথে, মাহবুব সামদানী আমার হাত পা ভেঙ্গে ফেলা নির্দেশ দেন , তখন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের দুই ভাইকে একা পেয়ে রিপন মাস্টার স্বপন খান খোকন খান ও তার ভাই লিটন খান সহ, দা ও লাঠি দিয়ে কুপিয়ে ও পিটি গুরুতর যখম করে। তখন আমার ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। তার কিছুক্ষণ পর পুলিশে ও সেনাবাহিনী এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন ।
পরে আমার পরিবার প্রথমে আমাদেরকে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে,বর্তমানে আমরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি।
এ সময় যুবদল নেতা ফারুক আরো জানান ৫ আগস্টের পর রিপন মাস্টার ও তার পরিবার রূপ বদলে বিএনপি হয়েছেন।আর মাহবুব সামদানী ১৭ বছর তাকে একদিনের জন্যও কোন নেতা কোন প্রোগ্রামে তাকে পাইনি, গফরগাঁয়ের কোন নেতা তাকে কল দিলে সে বলতো আর রাজনীতি করবো না। ৫ ই আগস্ট এর আগে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনে একটি ছবি দেখাতে পারবে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কারণে আমাকে গ্রেফতার করিয়েছিল একমাস কারা নির্যাতন ভোগ করেছি আজকের এই দিন দেখার জন্য।
বাপ দাদার নাম বিক্রি করে বিএনপি চলে না তারা প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিয়েছেন, তারা দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তারা আমাদের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মামলা ও জেলে দিতে আওয়ামী লীগকে উসকে দিয়েছে । আমার উপর এই অতর্কিত হামলার বিচার দাবি করছি।
আমার উপর এই অতর্কিত হামলার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে,ঘটনা ঠিক আধা ঘন্টা পর বিষয়টি পুলিশ সেনাবাহিনী এসে দৃশ্যমান দেখে গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ফিরে থানায় অভিযোগ দায়ের করব।