কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) :
ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মূল আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি তাদের দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার চাকু।
গ্রেপ্তারকৃতদের একজন মোঃ সুমন শেখ , যাকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বরিশালের বাকেরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অপর আসামি মোঃ জসীম হাওলাদারকে।
জানা গেছে, সুমনের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল অটো রিক্সাচালক জাকিরের। এ বিষয়ে সুমন জাকিরকে বেশ কয়েকবার নিষেধ করার পরেও সম্পর্ক চালিয়ে যায় জাকির। সর্বশেষ উপায়ান্তর না পেয়ে জাকিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে সুমন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ফোনে জাকিরকে ডেকে এনে সহযোগী জসিমকে সাথে নিয়ে পায়ের রগ কেটে ও ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা নিশ্চিত করে বলে স্বীকার করেছে সুমন।
এর আগে, গত ১১ জুন বিকেল উপজেলার শাক্তার নাগদা এলাকার কিং স্টার হাউজিং এর পশ্চিম-দক্ষিণ কোনের একটি ফাঁকা জায়গা থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের গলায় গামছা প্যাঁচানো ছিল, ডান হাতের কব্জি এবং দুই পায়ের রগ কাটা ছিল । সে পেশায় ছিল একজন অটোরিকশা চালক।
পরবর্তীতে নিহতের বাবা এসে পরিচয় শনাক্ত করে জানায় তার নাম জাকির ভূঁইয়া। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার পানি চত্বর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের নুড়ন্ডি গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন।