নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর শ্যামপুর থানা এলাকায় নাইট গার্ডকে বেঁধে চুরি মামলার ২ আসামীকে গ্ৰেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
গ্ৰেপ্তারকৃতরা হলো: মোঃ আরিফুল শিকদার (৫২) ও অপর আসামি মোঃ রুহুল আমিন (৫৬)।
বুধবার সকালে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ অধিনায়কের পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন গত ১৩জুন রাত সাড়ে এগারোটায় ভিকটিম মো: আনোয়ার হোসেন খান সুজন (৫০) ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন ১৮৩ করিমুল্লাবাগ এলাকায় সুজানা ট্রেডার্সে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসামী মোঃ আরিফুল শিকদার (৫২) ও মোঃ রুহুল আমিন (৫৬)’সহ অন্য আসামীরা উপস্থিত হয়ে পাহারাধার বাচ্চু শাহ (৭৫)’কে পাশের দোকানের চেয়ারে বেঁধে রেখে অফিস ও দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্যাশ বাক্স থেকে বের করে নেয়। এবং অফিসে থাকা মূল্যবান ব্যবসার কাগজ পত্র ও চেক বহি নিয়ে যায়। উক্ত সময় আসামীগণ ভেকু মেশিন দিয়ে অফিস ও দোকান ভাংচুর করে অনুমান ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং ৬ লাখ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৫৫০ কেজি পিতলের ক্যাবল চুরি করে নেয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম রাজধানীর শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা নং- ০৭, তারিখ ১৪/০৬/২০২৫ খ্রি., ধারা- ১৪৩/৪৪৮/৩৪২/৩৮০/৪২৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড, ১৮৬০ রুজু হয়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৭ জুন বিকাল অনুমান পৌনে ৬ টার দিকে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কোতোয়ালী থানাধীন জনসন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ আরিফুল শিকদার (৫২), পিতা- মোঃ শফিউল্লাহ শিকদার, সাং- পোস্তগোলা, থানা- শ্যামপুর, ডিএমপি, ঢাকা ও আসামী মোঃ রুহুল আমিন (৫৬),* পিতা- আজিজুর রহমান, সাং- তেঘরিয়া, থানা- মেলান্দহ, জেলা- জামালপুর’দ্বয়কে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী’দেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।#