কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) :
ঢাকার কেরানীগঞ্জে মোবাইল চুরির ঘটনায় থানায় সালিশ বৈঠক শেষে বাড়িতে ফেরার সময় তাজুল ইসলাম (৫০) নামে এক কুয়েত প্রবাসীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত তাজুল ইসলাম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের জালখোলা পশ্চিমদি এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার ঢাকা মাওয়া হাইওয়ের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক এলাকার পাশ থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাজুল ইসলামের মেয়ের জামাই সবুজ মোল্লার নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল চুরি হওয়ার পর চোর সন্দেহে দুজন শ্রমিককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় থানায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয় তাজুল ইসলাম। এরপর খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে ঝিলমিল আবাসিক এলাকার রাস্তার পাশে মৃতদেহ পাওয়া যায়।
মেয়ের জামাই সবুজ মোল্লা জানান, “আমি ও আমার শ্বশুর একসাথে থানা থেকে বের হয়েছি। আমি পথিমধ্যে তেঘরিয়া স্ট্যান্ডে রিকশা থেকে নেমে যাই এবং সে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে শাশুড়ি আমাকে ফোনে জানায় আমার শশুর এখনো বাড়িতে পৌঁছায় নাই। এরপর আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। পরে পুলিশ মৃতদেহের খবর দিলে ঝিলমিল এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে তার মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করি। তার ১৫ দিন পরে কুয়েতে যাওয়ার কথা ছিল। সে ছুটিতে দেশে এসেছিল।”
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আকতার হোসেন জানান , “মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত অব্যাহত আছে।”