গাজামুখী মানবিক সহায়তাবাহী জাহাজ ‘হানদালা’-তে শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। জাহাজটিতে তখন ২১ জন আরোহী ছিলেন। হামলার মুহূর্তের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারে (লাইভস্ট্রিমে) ধারণ করা হয়।
লাইভস্ট্রিমে দেখা যায়, ইসরায়েলি সৈন্যরা জাহাজে উঠে পড়ার পর আরোহীদের হাত উঁচু করতে নির্দেশ দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই লাইভ সম্প্রচারটি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে আটক ব্যক্তিদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ‘হানদালা আটক!’-ঘোষণা করে জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন, যারা আনাদোলুকে এই খবর নিশ্চিত করে।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নৌবাহিনী এখন জাহাজটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এটি নিরাপদে ইসরায়েলের উপকূলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সব যাত্রী নিরাপদে আছেন, বলা হয়েছে তাদের বিবৃতিতে।টাইমস অব ইসরায়েল জানায়,‘জাহাজটিকে নৌবাহিনী আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাবে এবং এরপর অ্যাক্টিভিস্টদের দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
জাহাজটি ইতালি থেকে ছেড়ে এসেছিল, এবং এটি শিশুখাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য খাবার বহন করছিল-যা আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক ও মানবিক আইন মেনেই পরিবহন করা হচ্ছিল। হানদালার আরোহীরা সবাই নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে রয়েছেন আইনপ্রণেতা, চিকিৎসক ও স্বেচ্ছাসেবক।
জাহাজটি ইসরায়েলি নৌবাহিনী ঘনিয়ে আসার সময় একটি বিপদ সংকেত (ডিস্ট্রেস কল) পাঠিয়েছিল।এই ঘটনাকে মানবিক সহায়তা অভিযানে সরাসরি বাধা ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন অনেক পর্যবেক্ষক। এখন পর্যন্ত জাহাজে থাকা ২১ জনের পরিচয় বা অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কূটনৈতিক পদক্ষেপের দিকে নজর রাখছে বিশ্ব।