গণঅভ্যুত্থান যুক্তসঙ্গত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানের তফসিলে ঘোষণাপত্র যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আইনি সুরক্ষা দেয়ার কথা বলেন তিনি।
এর আগে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানমঞ্চে সন্ধ্যা সোয়া ৫টার পর তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ শুরু করেন।
এই ঘোষণাপত্রটি ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের স্মারক দলিল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে সরকার এটি চূড়ান্ত করেছে। ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। বিএনপি থেকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস ও ড. আব্দুল মঈন খান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধি দলটি নেতৃত্ব দেন ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান নেতা জুনায়েদ সাকিসহ ১২ দলীয় জোটের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’। মূল মঞ্চ, সাউন্ড, লাইটিং এবং অন্যান্য প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ ড্রোন শো, এবং রাত ৮টায় পরিবেশন করবে জনপ্রিয় ব্যান্ড দল।
দিবসটি উপলক্ষে রাত ৮টা ২০ মিনিটে দেশের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণটি একযোগে সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতার।