যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দুই ভোটারের একজন মনে করেন ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। বুধবার প্রকাশিত কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নতুন জাতীয় জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। একইসঙ্গে, দেশটিতে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিরোধিতা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ শতাংশ ভোটার ইসরায়েলকে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিরোধিতা করছেন, আর মাত্র ৩২ শতাংশ সমর্থন জানাচ্ছেন। কুইনিপিয়াক (Quinnipiac) বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবার এই প্রশ্নটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে (হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর) তুলেছিল। তখন থেকে এখন পর্যন্ত বিরোধিতা সর্বোচ্চ এবং সমর্থন সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে।
দলভেদে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। ডেমোক্র্যাট ভোটারদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ এবং স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ সহায়তার পক্ষে এবং ৩৭ শতাংশ বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামগ্রিক কর্মদক্ষতা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে অসন্তোষ প্রবল। মাত্র ৩৭ শতাংশ তার কার্যক্রমে সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৫৫ শতাংশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত মোকাবিলায় ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোটার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, ৫৩ শতাংশ অসন্তুষ্ট।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটন ডিসিতে অপরাধ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। রিপাবলিকানরা এ পদক্ষেপকে সমর্থন করলেও, ডেমোক্র্যাট ও স্বতন্ত্র ভোটারদের বড় অংশ এর বিরোধিতা করছেন।কুইনিপিয়াক জরিপ বিশ্লেষক টিম ম্যালয় বলেন, ‘ওয়াশিংটনে অপরাধ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন খুব একটা সমর্থন পাচ্ছে না, বিশেষত স্বতন্ত্র ভোটাররা ব্যাপকভাবে এর বিপক্ষে।’
সূত্র: chanel 24