নেত্রকোনা সদর উপজেলার বড় কাইলাটি চল্লিশাকান্দা এলাকায় মাত্র ৪ হাজার টাকার জন্য মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জাহাঙ্গীর নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
আজ শনিবার হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন নেত্রকোনা সদর সার্কেল পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার।
এদিকে নিহত জাহাঙ্গীরের ভাই আলমগীর ঘটনার পর থেকে নিখোঁজের কথা জানান নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের পরিবার জানায়, নিহত জাহাঙ্গীরের বড় ভাই আলমগীর স্থানীয় রনি ও তরিকুল নামের দুই যুবকের কাছে ৪ হাজার টাকা পেতেন। ওই টাকা চাইতে গেলে তারা আলমগীরকে মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা আহত আলমগীরকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তার কিছুক্ষণ পর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রনি ও তরিকুল তাদের লোকজন নিয়ে আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে আবারও হামলা চালান। এ সময় আলমগীরকে ঘর থেকে বের করে মারধর শুরু করলে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর তাকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা লাঠি, রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে বাড়ির বাইরে টেনে নিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা উসমান আলী অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত রনি ও তরিকুল স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতাকর্মী। হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের পরিবারের অন্য সদস্যদের গুম করে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
নিহতের মামাতো ভাই জয়নাল ইসলাম জামী বলেন, ‘আমার ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার চাই।’
এ বিষয়ে নেত্রকোনা সদর সার্কেল পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মমেক) মর্গে রাখা হয়েছে। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।