1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মাইলস্টোনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে গুজব বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অতিরিক্ত পুড়ে মারা যাওয়া ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত কারাগারে বন্দি কয়েদি হাজতিদের মাঝে নৈতিকতার শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করে সিরিজ বাংলাদেশের কেরানীগঞ্জে ডিবি পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার কেরানীগঞ্জে যাত্রীবাহী থামানো বাসে আগুন বক্তৃতার সময় অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির কেরানীগঞ্জে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার কেরানীগঞ্জে “রং তুলিতে আমার চোখে জুলাই” প্রতিপাদ্যে চিত্রাঙ্কন ও গাছের চারা রোপন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার

মাইলস্টোনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে গুজব

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫

একটা দুর্ঘটনা ঘটার পর ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করা কঠিন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে- তাকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়া গুজব।

মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার পরও দেখা গেছে একই চিত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য কে নিহত, কে আহত, ইজেক্ট বাটন কাজ করেনি কেন, পাইলটের উদ্দেশ্য কী ছিল এসব নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজবে নষ্ট হয়েছে মানুষের মানসিক শান্তি, তৈরি হয়েছে ভয় ও অনিশ্চয়তা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের গুজবের প্রভাব শুধু জনমনে নয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতাতেও পড়ে। অথচ এই গুজবের উৎস অনেক সময়ই হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করা ভিডিও, পোস্ট কিংবা লাইভ স্ট্রিম।

 

দুর্ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো হয়ে ওঠে তথ্য বিভ্রাটের আখড়া। কেউ বলেন পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান বিধ্বস্ত করেছেন, কেউ বলেন সরকার লাশ গুম করছে, আবার কেউ বা উড়ো খবরে দাবি করেন বিমানটি নাকি ভিনদেশি ষড়যন্ত্রে ভেঙে পড়েছে। অথচ এসব দাবির পেছনে কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। তবু ‘ভিউ’ আর ‘ক্লিক’-এর আশায় তৈরি হচ্ছে একের পর এক বিভ্রান্তিকর ভিডিও ও পোস্ট।

ডিজিটাল রাইটস সংগঠন ‘ডিজিটাল রাইট’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বড় দুর্ঘটনার পর মানুষ মানসিকভাবে অস্থির থাকে। এই সময়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনমত প্রভাবিত করা সহজ। অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ায়। আবার অনেকে আর্থিক লাভের আশায় ভাইরাল কনটেন্ট বানায়।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে শুধু তথ্য দেয়া নয়, ভুল তথ্যকে চিহ্নিত করাও। কোন তথ্য ভুল এবং কেন ভুল তা বিশ্লেষণ করে জনগণকে জানানো সাংবাদিকতার একটি বড় কাজ।’

দুর্ঘটনার পরপরই যদি সরকার বা মূলধারার গণমাধ্যমগুলো থেকে যথাযথ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য না আসে, তখন মানুষ তথ্যের সন্ধানে ছুটে যায় যেখানে যা পায় সেটাকেই সত্য ধরে নেয়। তখনই জন্ম নেয় গুজব।

একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘যখন একটা তথ্য গ্যাপ থাকে, তখন আমি যেখানেই পাই, সেখান থেকেই তথ্য সংগ্রহ করি।’

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘টিভিও সবসময় সত্য বলে না। গত বছর জুলাই আন্দোলনে সময় আমরা দেখেছি টেলিভিশনের খবরেও অনেক ভুল ছিল। তাই এখন কারও ওপর পুরোপুরি ভরসা করা যায় না।’

 

আরেক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ‘আমি এখন কোন সোশ্যাল মিডিয়া বা নিউজ চ্যানেলই পুরোপুরি বিশ্বাস করি না। দুইটাকে মিলিয়ে নিজের মতো করে যাচাই করে নিই।’

 

ফ্যাক্টচেকিং বিশেষজ্ঞ কদরুদ্দীন শিশির বলেন, ‘মানুষ যখন রাষ্ট্রীয় যন্ত্র এবং মূলধারার গণমাধ্যমকে অবিশ্বস্ত মনে করে, তখন তারা বেছে নেয় বিকল্প উৎস, যেটি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। আর এখানেই সুযোগ নেয় কিছু গোষ্ঠী।’

তিনি বলেন, ‘মাইলস্টোন দুর্ঘটনার পর সরকারি তথ্য দিতে দেরি হয়েছে, মিডিয়ার মধ্যেও সমন্বয় ছিল না। এই ফাঁকেই ছড়িয়ে পড়ে গুজব।’ তার মতে, গুজব প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি হলো দ্রুত ও স্বচ্ছ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা।

 

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews