কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): রাজধানীর ঐতিহাসিক মিটফোর্ড হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পকেট গেট খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নৌকা মাঝি ও রোগীর স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের পেছনের বন্ধ গেটের সামনে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে অংশ নেন শতাধিক নৌকার মাঝি ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে আগত রোগীদের আত্মীয়স্বজন। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তারা গেট খুলে দেওয়ার দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, করোনাকালেও পকেট গেটটি খোলা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পর হঠাৎ করেই গেটটি বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, দোহারসহ ঢাকা জেলার দক্ষিণাংশ থেকে নদীপথে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নৌকা মাঝিরা অভিযোগ করেন, বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে রোগীরা সরাসরি এই গেট দিয়ে জরুরি বিভাগে পৌঁছাতে পারতেন। এখন গেট বন্ধ থাকায় তাদের প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে হাসপাতালের মূল ফটকে যেতে হচ্ছে, যা অনেক রোগীর অবস্থাকে আরও সংকটজনক করে তুলছে। এছাড়া তাদের আয় রোজগার কমে গেছে।
কেরানীগঞ্জ থেকে আসা এক রোগীর স্বজন বলেন, “এই গেটটা ছিল আমাদের রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার যাতায়াতের সহজ পথ। নদীপথে অসুস্থ মানুষদের জন্য এটা ছিল দ্রুততম প্রবেশপথ। এখন ঘুরে আসতে গিয়ে অনেক রোগী আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।”
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে বন্ধ গেট খুলে দেওয়ার দাবি জানান এবং বলেন, “রোগীর জীবন আগে—নিরাপত্তা নিশ্চয়ই জরুরি, তবে রোগীর অসুবিধার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে।”
এ বিষয়ে মিটফোর্ট হাসপাতালের পরিচালক,বিগ্রেডিয়ার মাজহারুল ইসলাম খান আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দিয়ে তিনি জানান,“মিটফোর্ড হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করেই গেটটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি মূলত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ।”