1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কেরানীগঞ্জে অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার (ভিডিওসহ) প্রতিমা বিসর্জনে গিয়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ ৩ শিশু দোহারের ঝনকিতে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল মাধবপুর দুই সাংবাদিকের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দুর্ব্যবহার (ভিডিও) দূর্গা পূজোর নতুন দুই গানের মিউজিক ভিডিও নিয়ে এলেন সংগীতশিল্পী ”রাকা পপি” এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান ও ভারত , টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে কেরানীগঞ্জে শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসব ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ঢাকা জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে বিক্ষোভ সমাবেশ গাইবান্ধায় কারাগারে আওয়ামীল নেতার মৃত্যু, জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নেবে আলবেনিয়া

দোহারের ঝনকিতে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫

দোহার (ঢাকা): গত শনিবার রাতে ঢাকার দোহার উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ঝনকি গ্রামে সংঘটিত নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বুধবার ১ অক্টোবর সকালে দোহার উপজেলা সড়কের কালেমা চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় জনসাধারণ। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত এবং দোষীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত হামলায় আহত সুমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে যুবদল নেতা মামুন মাঝির ইন্ধনে মুকসেদ মাঝি, আতিয়ার খালাসী, ফারুক, মহিবুল্লাহসহ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন সশস্ত্র হামলাকারী তাঁদের ওপর চড়াও হয়। হামলাকারীরা চাপাতি, রামদা ও শাবলের মতো দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে।

ক্রন্দনরত সুমা আক্তার আরও জানান, হামলায় গুরুতর আহত আমার বাবা ইসরাফিল শিকদার ও ফুফাতো ভাই সেলিমকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাঁরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে সেলিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করে বলেন, “মতিন সেলিমকে কুপিয়েছে। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি এবং বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি পাচ্ছি।”

মানববন্ধনে উপস্থিত আরেকজন ভুক্তভোগী রোকসানা জানান, পূর্বের শত্রুতা ও জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঘটনার দিন রুবেলের বাড়ির সামনে কিছু স্থানীয় যুবক অভিযুক্তদের বাধা দিতে গেলে, তারা মামুন মাঝি, মুকসেদ মাঝি ও আতি খালাসীকে ফোন করে নিয়ে আসে। এরপর ১৫ থেকে ২০ জন সবুজন, মতিনসহ আরো কয়েকজন মিলে নির্বিচারে কোপাতে শুরু করে।

রোকসানা বলেন, “আমরা পায়ে ধরেও রক্ষা পাইনি। তারা হুমকি দিয়ে বলে, ‘তোগোরে আইজ মাইর‍্যা ফালামু’। সেলিমকে খুব খারাপভাবে কোপানো হয়েছে এবং ইস্রাফিল শিকদারকে শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়। তারা সুমার কাপড় ছেঁড়ার চেষ্টা করে এবং কোপায়।” তিনি দ্রুত গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জোর দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন যে, এই জঘন্য হামলার সঙ্গে জড়িত সকল দোষীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। সরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু হওয়া এই মানববন্ধনটি উপজেলা গেট হয়ে দোহার থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ বিষয়ে দোহার থানা তদন্ত অফিসার মো. নুরুন্নবী সাংবাদিকদের জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews